কবিতা – পূজারিনি

কবি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


সেদিন শারদদিবা-অবসান, শ্রীমতী নামে সে দাসী
পুণ্যশীতল সলিলে নাহিয়া
পুষ্পপ্রদীপ থালায় বাহিয়া
রাজমহিষীর চরণে চাহিয়া নীরবে দাঁড়ালাে আসি।
শিহরি সভয়ে মহিষী কহিলা, এ কথা নাহি কি মনে,
অজাতশত্রু করেছে রটনা
স্তূপে যে করিবে অর্ঘ্যরচনা
শূলের উপরে মরিবে সে জনা অথবা নির্বাসনে!

সেথা হতে ফিরি গেল চলি ধীরে বধূ অমিতার ঘরে।
সমুখে রাখিয়া স্বর্ণমুকুর
বাঁধিতেছিল সে দীর্ঘ চিকুর,
আঁকিতেছিল সে যত্নে সিঁদুর সীমন্তসীমা-পরে।
শ্ৰীমতীরে হেরি বাঁকি গেল রেখা, কাপি গেল তার হাত
কহিল, অবােধ, কী সাহসবলে
এনেছিস পূজা! এখনি যা চলে
কে কোথা দেখিবে, ঘটিবে তা হলে বিষম বিপদ্পাত।


অক্তরবির রশিআভায় খােলা জানালার ধারে
কুমারী শুক্লা বসি একাকিনী
পড়িতে নিরত কাব্যাকাহিনী,
চমকি উঠিল শুনি কিছ্কিণী-চাহিয়া দেখিল দ্বারে।
শ্ৰীমতীরে হেবি পুঁথি রাখি ভূমে ফ্রুতপদে গেল কাছে।
কহে সাবধানে তার কানে কানে,
রাজার আদেশ আজি কে না জানে-
এমন করে কি মরণের পানে ছুটিয়া চলিতে আছে!

দ্বার হতে দ্বারে ফিরিল শ্রীমতী লইয়া অর্ঘ্াখালি।
হে পুরবাসিনী সবে ডাকি কয়,
হয়েছে এভুর পূজার সময়।
শুনি ঘবে ঘরে কেহ পায় ভয়, কেহ দেয় তারে গালি।

দিবসের শেষ আলােক মিলালাে নগরসৌধ-পরে।
পথ জনহীন আঁধারে বিলীন,
কলকোলাহল হয়ে এল ক্ষীণ,
আরতিঘণ্টা ধবনিল প্রাচীন রাজদেবালয়-ঘরে।
শারদনিশির স্বচ্ছ তিমিরে তারা অগণ্য জবলে
সিংহদুয়ারে বাজিল বিষাণ,
বন্দীরা ধরে সন্ধ্যার তান,
মন্ত্রণাসভা হল সমাধান দ্বারী ফুকারিয়া বলে।

এমন সময়ে হােরিলা চমকি প্রাসাদে প্রহরী যত
রাজার বিজন কানন-মাঝারে
ভগপদমূলে গহন আঁধারে
জুলিতেছে কেন যেন সারে সারে প্রদীপমালার মতাে?
মুক্তকৃপাণে পুররক্ষক তখনি ছুটিয়া আসি
শুধালাে, কে তুই ওরে দুর্মতি,
মরিবার তরে কবিস আরতি?
মধুর কষ্ঠে শুনিল, শ্রীমতী, আমি বুদ্ধের দাসী।

সেদিন শুভ্র পাযাণফলকে পড়িল রক্তলিখা।
সেদিন শারদস্বচ্ছনিশীখে
প্রাসাদকাননে নীরবে নিভৃতে
ভূপপদমূলে নিবিল চকিতে শেষ আরতির শিখা।


বন্দী বীর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঞ্চনদীর তীরে
বেণী পাকাইয়া শিরে
দেখিতে দেখিতে গুরুর মন্ত্রে জাগিয়া উঠেছে শিখ
নির্মম নির্ভীক।
হাজার কণ্ঠে গুরুজীর জয়’ ধ্বনিয়া তুলেছে দিক।
নূতন জাগিয়া শিখ
নূতন উষার সূর্যের পানে চাহিল নির্নিমিখ॥


অলখ নিরঞ্জন
মহারব উঠে বন্ধন টুটে করে ভয়ভঞ্জন।
বক্ষের পাশে ঘন উল্লাসে অসি বাজে ঝঞ্চন।
পঞ্জাব আজি গরজি উঠিল, অলখ নিরঞ্জন!

এসেছে সে এক দিন
লক্ষ পরানে শঙ্কা না জানে, না রাখে কাহারাে ঋণ
জীবন মৃত্যু পায়ের ভূত্য, চিত্ত ভাবনাইীন।
পঞ্চনদীর ঘিরি দশ তীর এসেছে সে এক দিন।।

দিল্লিপ্রাসাদকূটে
হােথা বার বার বাদশাজাদার তন্দ্রা যেতেছে ছুটে।
কাদের কণ্ঠে গগন মু্থে, নিবিড় নিশীথ টুটে-
কাদের মশালে আকাশের ভালে আগুন উঠেছে ফুটে?

পঞ্চনদীর তীরে
ভক্তদেহের রক্তলহরী মুক্ত হইল কি রে।
লক্ষ বক্ষ চিরে
ঝাকে ঝাকে প্রাণ পক্ষীসমান ছুটে যেন নিজ নীড়ে।
বীরগণ জননীরে
রক্ততিলক ললাটে পরালাে পঞ্চনদীর তীরে।

মােগল-শিখের রণে
মরণ-আলিঙ্গনে
কণ্ঠ পাকড়ি ধরিল আঁকড়ি দুইজনা দুইজনে-
দংশনক্ষত শ্যেনবিহঙ্গ যুঝে ভুজঙ্গ-সনে।
সেদিন কঠিন রণে
জয় গুরুজীর’ হাঁকে শিখবীর সুগভীর নিঃস্বনে।
মত্ত মােগল রক্তপাগল দীন দীন গরজনে।

গুরুদাসপুর গড়ে
বন্দা যখন বন্দী হইল তুরানি সেনার করে,
সিংহের মতাে শৃঙ্খলগত বাঁধি লয়ে গেল ধরে।
দিল্লিনগর-পরে।
বন্দা সমরে বন্দী হইল গুরুদাসপুর গড়ে।

সম্মুখে চলে মােগল সৈন্য উড়ায়ে পথের ধূলি
ছিন্ন শিখের মুণ্ড লইয়া বর্শাফলকে তুলি
শিখ সাত শত চলে পশ্চাতে, বাজে শৃঙ্খলগুলি।
রাজপথ-পরে লােক নাহি ধরে, বাতায়ন যায় খুলি।
শিখ গরজয় গুরুজীর জয়’ পরানের ভয় ভুলি।
মােগলে ও শিখে উড়ালাে আজিকে দিল্ন্লিপথের ধূলি।

পড়ি গেল রলাড়াকড়ি
আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান, তারি লাগি তাড়াতাড়ি।
দিন গেলে প্রাতে ঘাতকের হাতে বন্দীরা সারি সারি
জয় গুরুজীর কহি শত বীর শত শির দেয় ডারি।

সপ্তাহকালে সাত শত প্রাণ নিঃশেষ হয়ে গেলে
বন্দার কোলে কাজি দিল তুলি বন্দার এক ছেলে
কহিল, ইহারে বধিতে হইবে নিজ হাতে অবহেলে।
দিল তার কোলে ফেলে
কিশাের কুমার, বাঁধা বাহু তার, বন্দার এক ছেলে।

কিছু না কহিল বাণী,
বন্দা সুধীরে ছােটো ছেলেটিরে লইল বক্ষে টানি।
ক্ষণকালতরে মাথার উপরে রাখে দক্ষিণপাণি,
শুধু একবার চুম্বিল তার রাঙা উষ্ণীষখানি।
তার পরে ধীরে কটিবাস হতে ছুরিকা খসায়ে আনি
বালকের মুখ চাহি
গুরুজীর জয় কানে কানে কয়, রে পুত্র, ভয় নাহি।
নবীন বদনে অভয়কিরণ জ্বলি উঠে উৎসাহি-
কিশােরকণ্ঠে কাপে সভাতল, বালক উঠিল গাহি
গুরুজীর জয়, কিছু নাহি ভয় বন্দার মুখ চাহি।
বন্দা তখন বামবাহুপাশ জড়াইল তার গলে,
দক্ষিণকরে ছেলের বক্ষে
গুরুজীর জয়’ কহিয়া বালক লুটালাে ধরণীতলে।
ছুরী বসাইল বলে

সভা হল নিস্তব্ধ।
বন্দার দেহ ছিড়িল ঘাতক সাঁড়াশি করিয়া দগ্ধ।
স্থির হয়ে বীর মরিল, না করি, একটি কাতর শব্দ।
দর্শকজন মুদিল নয়ন, সভা হল নিস্তব্ধ।।


Phrasal verb with Bengali Meaning “Call”

Phrasal verb with Bengali Meaning “CALL”

Phrasal VerbMeaning Sentence
call atকোন স্থানে যাওয়া। you may call at (visit) visit my place
call forচাওয়া বা প্রয়োজন হওয়া। The situation calls for (require) quick action
call inডেকে পাঠানো। call in (send for/ask to come/summon) doctor The
call offমুলতুবি করা।strike has been called off(cancelled).
call onদেখা করা। I’ll call on (visit) our neighbor tomorrow.
call out1)বার করে আনা।
2)নিয়োগ করা বা তলব করা।
Necessity call out many a new invention.
Army has been called out (deployed) to deal with the riot.
call overপড়ে শোনান।The announcer call over (read out) the name again and again
call up1)স্মরণ করা।
2)টেলিফোন করা।
1)The old man cannot called up past event properly.
2)My friend call me up (made a phone call)
call upon1)আদেশ করা (এগিয়ে আসতে)।
2)অনুরোধ করা।
1)the police man called upon (order me to come forward) me.
2) the president called upon (ask formally) every member to speak.
Phrasal verb with Bengali meaning ‘CALL’

Phrasal Verb with Bengali Meaning “bear away, bear on, bear out, bear with, bear up, bear out”

Phrasal verb with Bengali meaning (“BEAR”)

BEAR

Phrasal verbBengali meaningSentence
bear awayজয়লাভ করাNeeraj Chopra bore away(own) gold medal.
bear onক্ষতি করা These are matters which bear on (affect) national integration
bear outসমর্থন করা This bears out (support)what you said
bear upঅটল থাকাHe is bearing up (remaining firm) after losing the job.
bear withসহ‍্য করা None can bear with (tolerate)such conduct.
phrasal verb with Bengali meaning ‘bear’

বক্সারের যুদ্ধ Boxer war 1760-63

* বক্সারের যুদ্ধঃ মিরকাশিম (১৭৬০-৬৩ খ্রিঃ) ছিলেন স্বাধীনচেতা নবাব
ইংরেজদের হাতের পুতুল নয়। সিংহাসনে বসে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিমতো সব প্রাপ্য মিটিয়ে
দিয়ে
বিনা শুল্কে বাণিজ্য করত। এতে নবাব ও দেশীয় বণিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হত। নবাব এ ব্যাপারে
বারংবার প্রতিবাদ জানান, কিন্তু তাতে কোনো সুফল হয়নি। এই কারণে নবাব দেশীয়
বণিকদের ওপর থেকেও বাণিজ্য শুল্ক তুলে দেন। এটা ইংরেজ বণিকদের পক্ষে মেনে নেওয়া
সম্ভব ছিল না। এর ফলে দুপক্ষে যুদ্ধ শুরু হয়। কাটোয়া, গিরিয়া ও উদয়নালা–পর পর তিনটি
যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মিরকাশিম অযোধ্যায় পলায়ন করেন। তারপর অযোধ্যার নবাব
সুজাউদ্দৌলা ও দিল্লির বাদশা দ্বিতীয় শাহ আলমের সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি ইংরেজদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধে এই সম্মিলিত বাহিনী পরাজিত হয়।
ভারতে ইংরেজ সাম্রাজ্য বিস্তারের ইতিহাসে পলাশির যুদ্ধ অপেক্ষা বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব
অনেক বেশি। পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের যে প্রভুত্বলাভ হয়, বক্সারের যুদ্ধে তা সুপ্রতিষ্ঠিত
হয়। বক্সারের যুদ্ধের ফলে বাংলায় ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, নবাব কোম্পানির হাতের
পুতুলে পরিণত হন। বাংলার বুকে কোম্পানির যথেচ্ছ লুণ্ঠন শুরু হয় এবং অযোধ্যার নবাব
কোম্পানির অনুগত মিত্র ও মোগল সম্রাট কোম্পানির বৃত্তিভোগীতে পরিণত হন। এক কথায়,
এর ফলে উত্তর ভারতে কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান রচিত হয়।

Padma Awards 2022 list bengali

পদ্ম পুরস্কার – দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলির মধ্যে একটি, প্রদান করা হয়
তিনটি বিভাগ, যথা, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী। পুরস্কার বিভিন্ন শৃঙ্খলা/ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়, যেমন- শিল্প, সমাজকর্ম, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স,
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, বাণিজ্য ও শিল্প, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শিক্ষা, ক্রীড়া, নাগরিক
সেবা, ইত্যাদি। ব্যতিক্রমী এবং বিশিষ্ট সেবার জন্য ‘পদ্মবিভূষণ’ প্রদান করা হয়;
উচ্চ মানের বিশিষ্ট সেবার জন্য ‘পদ্মভূষণ’ এবং বিশিষ্টদের জন্য ‘পদ্মশ্রী’
যে কোন ক্ষেত্রে সেবা। প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

2. এই পুরস্কারগুলি ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয় যা
সাধারণত প্রতি বছর মার্চ/এপ্রিলের কাছাকাছি রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর
রাষ্ট্রপতি 2টি যুগল মামলা সহ 128টি পদ্ম পুরস্কার প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন (একটি জুটিতে
ক্ষেত্রে, পুরস্কারটি একটি হিসাবে গণনা করা হয়) নীচের তালিকা অনুসারে। তালিকায় রয়েছে ৪ পদ্মবিভূষণ,
17টি পদ্মভূষণ এবং 107টি পদ্মশ্রী পুরস্কার। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৪ জন নারী ও তালিকায় রয়েছেন
এছাড়াও বিদেশী/এনআরআই/পিআইও/ওসিআই বিভাগের 10 জন ব্যক্তি এবং 13 জন মরণোত্তর অন্তর্ভুক্ত
পুরস্কারপ্রাপ্ত

পদ্মবিভূষণ (4)

SN.NameFieldState/Coutry
1মি. প্রভা আত্রেআর্টমহারাষ্ট্র
2শ্রী রাধেশ্যাম খেমকা (মরণোত্তর)সাহিত্য ও শিক্ষাউত্তরপ্রদেশ
3জেনারেল বিপিন রাওয়াত (মরণোত্তর)সিভিল সার্ভিসউত্তরাখণ্ড
4শ্রী কল্যাণ সিং (মরণোত্তর)পাবলিক অ্যাফেয়ার্সউত্তরপ্রদেশ

পদ্মভূষণ (১৭)

SN.NameFieldState/Country
5শ্রী গুলাম নবী আজাদপাবলিক অ্যাফেয়ার্সজম্মু ও কাশ্মীর
6শ্রী ভিক্টর ব্যানার্জীআর্টপশ্চিমবঙ্গ
7শ্রীমতি. গুরমিত বাওয়া
(মরণোত্তর)
আর্টপাঞ্জাব
8শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যপাবলিক অ্যাফেয়ার্সপশ্চিমবঙ্গ
9শ্রী নটরাজন চন্দ্রশেকরনবাণিজ্য ও শিল্পমহারাষ্ট্র
10শ্রী কৃষ্ণ এলা এবং শ্রীমতী সুচিত্রা
এলা* (ডুও)
বাণিজ্য ও শিল্পতেলেঙ্গানা
11সুশ্রী মধুর জাফরি ​​অন্যান্য-রন্ধনবিদ্যামার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকা
12শ্রী দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়াস্পোর্টসরাজস্থান
13শ্রী রশিদ খানআর্টউত্তরপ্রদেশ
14শ্রী রাজীব মেহরিশিসিভিল সার্ভিসরাজস্থান
15শ্রী সত্য নারায়ণ নাদেলাবাণিজ্য ও শিল্পমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকা
16শ্রী সুন্দররাজন পিচাইবাণিজ্য ও শিল্পমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকা
17শ্রী সাইরাস পুনাওয়াল্লাবাণিজ্য ও শিল্পমহারাষ্ট্র
18শ্রী সঞ্জয় রাজারাম
(মরণোত্তর)
বিজ্ঞান ও প্রকৌশলমেক্সিকো
19মিসেস প্রতিভা রায়সাহিত্য ও শিক্ষাওড়িশা
20স্বামী সচিদানন্দসাহিত্য ও শিক্ষাগুজরাট
21শ্রী বশিষ্ঠ ত্রিপাঠীসাহিত্য ও শিক্ষাউত্তরপ্রদেশ

পদ্মশ্রী (107)

SN.NameFieldState/Cuntri
22শ্রী প্রহ্লাদ রায় আগরওয়ালাবাণিজ্য ও শিল্পপশ্চিমবঙ্গ
23অধ্যাপক ড. নাজমা আখতারসাহিত্য ও শিক্ষাদিল্লি
24শ্রী সুমিত অ্যান্টিলস্পোর্টসহরিয়ানা
25শ্রী টি সেনকা আওসাহিত্য ও শিক্ষানাগাল্যান্ড
26শ্রীমতি কমলিনী আস্থানা এবং মি.
নলিনী আস্থানা* (ডুও)
আর্টউত্তরপ্রদেশ
27শ্রী সুব্বান্না আয়াপ্পানবিজ্ঞান ও প্রকৌশলকর্ণাটক
28শ্রী জে কে বাজাজসাহিত্য ও শিক্ষাদিল্লি
29শ্রী সিরপি বালাসুব্রামানিয়ামসাহিত্য ও শিক্ষাতামিলনাড়ু
30শ্রীমদ বাবা বালিয়াসোশ্যাল ওয়ার্কওডিশা
31শ্রীমতি সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়বিজ্ঞান ও প্রকৌশলপশ্চিমবঙ্গ
32শ্রীমতি মাধুরী বার্থওয়ালআর্টউত্তরাখণ্ড
33শ্রী আখোনে আসগর আলী বাশারতসাহিত্য ও শিক্ষালাদাখ
34হিম্মতরাও বাওয়াস্করমেডিসিনমহারাষ্ট্র
35শ্রী হরমোহিন্দর সিং বেদীসাহিত্য ও শিক্ষাপাঞ্জাব
36শ্রী প্রমোদ ভগতস্পোর্টসওডিশা
37শ্রী এস বল্লেশ ভজন্ত্রীআর্টতামিলনাড়ু
38শ্রী খান্ডু ওয়াংচুক ভুটিয়াআর্টসিকিম
39শ্রী মারিয়া ক্রিস্টোফার বাইরস্কিসাহিত্য ও শিক্ষাপোল্যান্ড
40আচার্য চন্দনাজীসমাজকর্মবিহার
41শ্রীমতি সুলোচনা চ্যাবনআর্টমহারাষ্ট্র
42শ্রী নীরজ চোপড়াস্পোর্টসহরিয়ানা
43শ্রীমতি শকুন্তলা চৌধুরীসমাজকর্মআসাম
44শ্রী শঙ্করনারায়ণ মেনন
চুন্দাইল
স্পোর্টসকেরালা
45শ্রী এস দামোদরনসোশ্যাল ওয়ার্কতামিলনাড়ু
46শ্রী ফয়সাল আলী দারস্পোর্টসজম্মু এবং
কাশ্মীর
47শ্রী জগজিৎ সিং দারদিবাণিজ্য ও শিল্পচণ্ডীগড়
48ড. প্রোকার দাশগুপ্তমেডিসিনযুক্তরাজ্য
49শ্রী আদিত্য প্রসাদ দাশবিজ্ঞান ও প্রকৌশলওড়িশা
50শ্রীমতি  লতা দেশাইমেডিসিনগুজরাট
51শ্রী মালজি ভাই দেশাই পাবলিকঅ্যাফেয়ার্সগুজরাট
52শ্রীমতি বাসন্তী দেবীসমাজকর্মউত্তরাখণ্ড
53শ্রীমতি লোরেম্বাম বিনো দেবীআর্টমণিপুর
54শ্রীমতি মুক্তামনি দেবীবাণিজ্য ও শিল্পমণিপুর
55শ্রীমতি শ্যামামণি দেবীআর্টওডিশা
56শ্রী খলিল ধনতেজভী
(মরণোত্তর)
সাহিত্য ও শিক্ষাগুজরাট
57শ্রী সাভাজি ভাই ঢোলাকিয়াসমাজকর্মগুজরাট
58শ্রী অর্জুন সিং ধুরভেআর্টমধ্যপ্রদেশ
59বিজয়কুমার বিনায়ক ডংরেমেডিসিনমহারাষ্ট্র
60শ্রী চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী আর্টআর্টরাজস্থান
61শ্রী ধনেশ্বর ইংতিসাহিত্য ও শিক্ষাআসাম
62শ্রী ওম প্রকাশ গান্ধীসমাজকর্মহরিয়ানা
63শ্রী নরসিংহ রাও গারিকপতিসাহিত্য ও শিক্ষাঅন্ধ্রপ্রদেশ
64শ্রী গিরিধারী রাম ঘোঁজু
(মরণোত্তর)
সাহিত্য ও শিক্ষাঝাড়খণ্ড
65শ্রী শৈবাল গুপ্ত
(মরণোত্তর)
সাহিত্য ও শিক্ষাবিহার
66শ্রী নরসিংহ প্রসাদ গুরুসাহিত্য ও শিক্ষাওডিশা
67শ্রী গোসাভেদু শাইক হাসান
(মরণোত্তর)
আর্টঅন্ধ্রপ্রদেশ
68শ্রী রিউকো হিরাবাণিজ্য ও শিল্পজাপান
69সসময় ইপে অন্যান্য – পশু
হাজবেন্ড্রি
কেরালা
70শ্রী অবধ কিশোর জাদিয়াসাহিত্য ও শিক্ষামধ্যপ্রদেশ
71শ্রীমতি সওকার জানকীআর্টতামিলনাড়ু
72শ্রীমতি তারা জওহরসাহিত্য ও শিক্ষাদিল্লি
73শ্রীমতি বন্দনা কাটারিয়াস্পোর্টসউত্তরাখণ্ড
74শ্রী এইচ আর কেশবমূর্তিআর্টকর্ণাটক
75শ্রী রুটগার কর্টেনহর্স্টসাহিত্য ও শিক্ষাআয়ারল্যান্ড
76শ্রী পি নারায়ণ কুরুপসাহিত্য ও শিক্ষাকেরালা
77শ্রীমতি অবনী লেখারাস্পোর্টসরাজস্থান
78শ্রী মতি লাল মদনবিজ্ঞান ও প্রকৌশলহরিয়ানা
79শ্রী শিবনাথ মিশ্রআর্টউত্তর প্রদেশ
80ড. নরেন্দ্র প্রসাদ মিশ্র
(মরণোত্তর)
মেডিসিনমধ্যপ্রদেশ
81ড. নরেন্দ্র প্রসাদ মিশ্র
(মরণোত্তর)
আর্টতেলেঙ্গানা
82শ্রী গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র
(মরণোত্তর)
সিভিল সার্ভিসদিল্লি
83শ্রী থাভিল কোঙ্গাম্পত্তু এ ভি
মুরুগাইয়ান
আর্টপুদুচেরি
84শ্রী থাভিল কোঙ্গাম্পত্তু এ ভি
মুরুগাইয়ান
আর্টতামিলনাড়ু
85শ্রী আব্দুল খাদের নাদাকাত্তিনOthers – Grassroots Innovationকর্ণাটক
86শ্রী অমাই মহালিঙ্গ নায়েকঅন্যান্য – কৃষিকর্ণাটক
87শ্রী তসেরিং নামগিয়ালআর্টলাদাখ
88শ্রী এ কে সি নটরাজনআর্টতামিলনাড়ু
89শ্রী ভি এল এনঘাকাসাহিত্য ও শিক্ষামিজোরাম
90শ্রী সোনু নিগমআর্টমহারাষ্ট্র
91শ্রী রাম সহায় পান্ডে আর্টআর্টমধ্যপ্রদেশ
92শ্রী চিরাপাট প্রপাণ্ডবিদ্যাসাহিত্য ও শিক্ষাথাইল্যান্ড
93শ্রীমতি কে ভি রাবিয়াসমাজকর্মকেরালা
94শ্রী অনিল কুমার রাজবংশীবিজ্ঞান ও প্রকৌশলমহারাষ্ট্র
95শ্রী শীশ রামআর্টউত্তর প্রদেশ
96শ্রী রামচন্দ্রাইয়াআর্টতেলেঙ্গানা
97সুঙ্কর ভেঙ্কট আদিনারায়ণ
রাও
মেডিসিনঅন্ধ্রপ্রদেশ
98শ্রীমতি গামিত রমিলাবেন রায়সিংভাইসমাজকর্মগুজরাট
99শ্রীমতি পদ্মজা রেড্ডিআর্টতেলেঙ্গানা
100গুরু তুলকু রিনপোচেঅন্যান্য – আধ্যাত্মবাদঅরুণাচল প্রদেশ
101শ্রী ব্রহ্মানন্দ শঙ্খওয়ালকরস্পোর্টসগোয়া
102শ্রী বিদ্যানন্দ সারেকসাহিত্য ও শিক্ষাহিমাচল প্রদেশ
103শ্রী কালী পদ সরেনসাহিত্য ও শিক্ষাপশ্চিমবঙ্গ
104ডাঃ. বীরস্বামী সেশিয়াহমেডিসিনতামিলনাড়ু
105শ্রীমতি .প্রভাবেন শাহসমাজকর্মদাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ
106শ্রী দিলীপ শাহানিসাহিত্য ও শিক্ষাদিল্লি
107শ্রী রাম দয়াল শর্মাআর্টরাজস্থান
108শ্রী বিশ্বমূর্তি শাস্ত্রীসাহিত্য ও শিক্ষাজম্মু ও কাশ্মীর
109শ্রীমতি তাতিয়ানা লভোভনা শৌমিয়ানসাহিত্য ও শিক্ষারাশিয়া
110শ্রী সিদ্ধলিঙ্গাইয়া
(মরণোত্তর)
সাহিত্য ও শিক্ষাকর্ণাটক
111শ্রী কাজী সিংআর্টপশ্চিমবঙ্গ
112শ্রী কনসাম ইবোমচা সিংআর্টমণিপুর
113শ্রী প্রেম সিংসাহিত্য ও শিক্ষাপাঞ্জাব
114শ্রী শেঠ পাল সিংঅন্যান্য – কৃষিউত্তর প্রদেশ
115শ্রীমতি বিদ্যা বিন্দু সিংসাহিত্য ও শিক্ষাউত্তর প্রদেশ
116বাবা ইকবাল সিং জিসমাজকর্মপাঞ্জাব
117ডাঃ. ভীমসেন সিংহলমেডিসিনমহারাষ্ট্র
118শ্রী শিবানন্দঅন্যান্য – যোগব্যায়ামউত্তর প্রদেশ
119শ্রী অজয় ​​কুমার সোনকারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলউত্তর প্রদেশ
120শ্রীমতি অজিতা শ্রীবাস্তবআর্টউত্তর প্রদেশ
121সদগুরু ব্রহ্মেশানন্দ আচার্য স্বামীঅন্যান্য – আধ্যাত্মবাদগোয়া
122ডাঃ. বালাজি তাম্বে
(মরণোত্তর)
মেডিসিনমহারাষ্ট্র
123শ্রী রঘুবেন্দ্র তানওয়ারসাহিত্য ও শিক্ষাহরিয়ানা
124ডাঃ. কমলাকর ত্রিপাঠীমেডিসিনউত্তর প্রদেশ
125শ্রীমতি ললিতা ভাকিলসাহিত্য ও শিক্ষাহিমাচল প্রদেশ
126শ্রীমতি দুর্গা বাই ব্যামসাহিত্য ও শিক্ষামধ্য প্রদেশ
127শ্রী জ্যন্তকুমার মগনলাল ব্যাসবিজ্ঞান ও প্রকৌশলগুজরাট
128বাডপলিন ওয়ার সাহিত্য ও শিক্ষামেঘালয়

দ্রষ্টব্য: * Duo ক্ষেত্রে, পুরস্কারটি একটি হিসাবে গণনা করা হয়।

বড়াে কে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত || Boro Bangla Kobita by Iswarchandra Gupto

বড়াে কে ?

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

আপনাকে বড়াে বলে – বড়াে সেই নয়;

 লােকে যাকে বড়াে বলে – বড়াে সেই হয়।

সংসারে বড়াে হওয়া কঠিন ব্যাপার,

 সংসারে সে বড়াে হয়, বড়াে গুন যার।

হিতাহিত না বুঝিয়া মরে অহংকারে

 নিজে বড়াে হতে চায়, ছােটো বলি তারে ।

গুণেতে হইলে বড়াে, বড়াে বলে সবে,

 বড়াে যদি হতে চাও, ছােটো হও তবে

Rahur Prem Bangla Kobita || রাহুর প্রেম কবিতা Rabindranath Tagore


কবিতা  -রাহুর প্রেম

     কবি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)


শুনেছি আমারে ভালােই লাগে না, নাই বা লাগিল তাের।
কঠিন বাঁধনে চরণ বেড়িয়া
চিরকাল তােরে রব আঁকড়িয়া
লােহার শিকল-ডাের।
তুই তাে আমার বন্দী অভাগী, বাঁধিয়াছি কারাগারে,
প্রাণের বাঁধন দিয়েছি প্রাণেতে, দেখি কে খুলিতে পারে।
জগৎ-মাঝারে যেথায় বেড়াবি,
যেথায় বসিবি, যেথায় দাঁড়াবি,
বসন্তে শীতে দিবসে নিশীথে
সাথে সাথে তাের থাকিবে বাজিতে
এ পাষাণপ্রাণ চিরশৃঙ্খল চরণ জড়ায়ে ধরে
একবার তােরে দেখেছি যখন কেমনে এড়াবি মােরে?
চাও নাহি চাও, ডাকো নাই ডাকো,
কাছেতে আমার থাকো নাই থাকো,
যাব সাথে সাথে, রব পায় পায়, রব গায় গায় মিশি—
এ বিষাদ ঘাের, এ আঁধার মুখ, এ অশ্রুজল, এই ভাঙা বুক,
ভাঙা বাদ্যের মতন বাজিবে সাথে সাথে দিবানিশি ৷৷


নিত্যকালের সঙ্গী আমি যে, আমি যে রে তাের ছায়া
কিবা সে রােদনে কিবা সে হাসিতে
দেখিতে পাইবি কখনাে পাশেতে
কভু সম্মুখে কভু পশ্চাতে আমার আঁধার কায়া।
গভীর নিশীথে একাকী যখন বসিয়া মলিনপ্রাণে
চমকি উঠিয়া দেখিবি তরাসে
আমিও রয়েছি বসে তাের পাশে
চেয়ে তাের মুখপানে। যে দিকেই তুই ফিরাবি বয়ান
সেই দিকে আমি ফিরাব নয়ান,
যে দিকে চাহিবি আকাশে আমার আঁধার মুরতি আঁকা-
সকলি পড়িবে আমার আড়ালে, জগৎ পড়িবে ঢাকা।
দুঃস্বপনের মতাে চিরকাল তােমারে রহিব ঘিরে,
দিবসরজনী এ মুখ দেখিব তােমার নয়ননীরে।
চিরভিক্ষার মতন দাঁড়ায়ে রব সম্মুখে তাের।
‘দাও দাও’ বলে কেবলি ডাকিব , ফেলিব নয়নলাের।
কেবলি সাধিব, কেবলি কাদিব, কেবলি ফেলিব শ্বাস,
কানের কাছেতে প্রাণের কাছেতে করিব রে হাহুতাশ।
মাের এক নাম কেবলি বসিয়া জপিব কানেতে তব,
কাটার মতন দিবসরজনী পায়েতে বিধিয়ে রব।
গত জনমের অভিশাপ-সম রব আমি কাছে কাছে,
ভাবী জনমের অদৃষ্ট-হেন বেড়াইব পাছে পাছে৷৷


যেন রে অকূল সাগর-মাঝারে ডুবেছে জগৎ-তরী,
তারি মাঝে শুধু মােরা দুটি প্রাণী
রয়েছি জড়ায়ে তাের বাহুখানি,
যুঝিস ছাড়াতে, ছাড়িব না তবু মহাসমুদ্র-‘পরি।
পলে পলে তাের দেহ হয় ক্ষীণ,
পলে পলে তাের বাহু বলহীন-
দোঁহে অনন্তে ডুবি নিশিদিন, তবু আছি তােরে ধরি।|


রােগের মতন বাঁধিব তােমারে দারুণ আলিঙ্গনে
মাের যাতনায় হইবি অধীর,
আমারি অনলে দহিবে শরীর,
অবিরাম শুধু আমি ছাড়া আর কিছু না রহিবে মনে।|


ঘুমাবি যখন স্বপন দেখিবি, কেবল দেখিবি মােরে—
এই অনিমেষ তৃষাতুর আঁখি চাহিয়া দেখিছে তােরে।
নিশীথে বসিয়া থেকে থেকে তুই শুনিবি আঁধারঘােরে
কোথা হতে এক ঘাের উন্মাদ ডাকে তাের নাম ধরে।
নিরজন পথে চলিতে চলিতে সহসা সভয় গণি।
সাঁঝের আঁধারে শুনিতে পাইবি আমার হাসির ধ্বনি।|


হেরাে তমােঘন মরুময়ী নিশা—
আমার পরান হারায়েছে দিশা,
অনন্ত ক্ষুধা অনন্ত তৃষা করিতেছে হাহাকার। আজিকে যখন পেয়েছি রে তােরে
এ চিরযামিনী ছাড়িব কী করে,
এ ঘাের পিপাসা যুগযুগান্তে মিটিৰে কি কভু আর!
বুকের ভিতরে ছুরির মতন,
মনের মাঝারে বিষের মতন,
রােগের মতন, শােকের মতন রব আমি অনিবার।|


জীবনের পিছে মরণ দাঁড়ায়ে, আশার পিছনে ভয়-
ডাকিনীর মতাে রজনী ভ্ৰমিছে
চিরদিন ধরে দিবসের পিছে
সমস্ত ধরাময়।
যেথায় আলােক সেইখানে ছায়া এই তাে নিয়ম ভবে-
ও রূপের কাছে চিরদিন তাই এ ক্ষুধা জাগিয়া রবে।|

Provat utsob Bangla kobita||কবিতা – প্রভাত-উৎসব কবি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবিতা  – প্রভাত-উৎসব

     কবি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)


হৃদয় আজি মাের কেমনে গেল খুলি
জগৎ আসি সেথা করিছে কোলাকুলি।
প্রভাত হল যেই কী জানি হল একি,
আকাশ-পানে চাই কী জানি কারে দেখি।|


পুরবমেঘমুখে পড়েছে রবিরেখা,
অরুণরথচূড়া আধেক যায় দেখা।
তরুণ আলাে দেখে পাখির কলরব,
মধুর আহা কি মধুর মধু সব।|


আকাশ, এসাে এসাে ডাকিছ বুঝি ভাই-
গেছি তাে তােরি বুকে, আমি তাে হেথা নাই।
প্রভাত-আলাে-সাথে ছড়ায় প্রাণ মাের,
আমার প্রাণ দিয়ে ভরিব প্রাণ তাের।|


ওঠো হে ওঠো রবি, আমারে তুলে লও,
অরুণতরী’ তব পুরবে ছেড়ে দাও।
আকাশপারাবার বুঝি হে পার হবে-
আমারে লও তবে, আমারে লও তবে।|